নেত্রকোনা ১০:৩২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ০১ মে ২০২৪, ১৮ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

১৮ বছর ধরে ঘুমাচ্ছেন সৌদি রাজপুত্র

  • আপডেট : ০১:২১:১৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩০ জুলাই ২০২৩
  • ৭৬

পূর্বকন্ঠ ডেস্ক: প্রায় ১৮ বছর ধরে ঘুমিয়ে রয়েছেন সৌদি রাজপুত্র আল ওয়ালিদ বিন খালিদ বিন তালাল আল সৌদ। বিশ্বের কাছে তার পরিচিতি ‘ঘুমন্ত রাজপুত্র’ হিসেবেই।

ওয়ালিদ যেন অপেক্ষায় রয়েছেন কবে কেউ এসে ‘সোনার কাঠি’ ছুঁইয়ে তাকে ঘুম থেকে ডেকে তুলবেন। অবশ্য তাকে ঘুম থেকে তোলার চেষ্টায় শত শত সোনার কাঠি ছোঁয়ানো হয়েছে। খরচ হয়েছে কোটি কোটি টাকা। কিন্তু কোনো লাভ হয়নি।

২০০৫ সালে মাত্র ১৮ বছর বয়সে সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদে একটি সড়ক দুর্ঘটনার মুখোমুখি হন ওয়ালিদ। গুরুতর আহতাবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাকে। চিকিৎসকরা বলেন, মস্তিষ্কে চোট লাগায় ওয়ালিদ কোমায় চলে গেছেন। এখনো কোমা থেকে ফেরেননি তিনি।,

ওয়ালিদ সৌদি রাজপরিবারের সদস্য খালিদ বিন তালাল আল সৌদের ছেলে। তার চাচা আল ওয়ালিদ বিন তালাল একজন ধনকুবের। তারা ওয়ালিদের জন্য কম চেষ্টা করেননি। তার পরও অবস্থার কোনো উন্নতি হয়নি। চিকিৎসকরা ওয়ালিদকে স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনার সব আশা ত্যাগ করেছেন। কিন্তু বাবা খালিদের আশা, ছেলে একদিন সুস্থ হয়ে উঠবে।,

খালিদ একবার বলেছিলেন, চিকিৎসকরা আমার ছেলের লাইফসাপোর্ট বন্ধ করে দিতে বলেছিল। আমি বলেছি, দুর্ঘটনায় মৃত্যু হলে ছেলেকে কবর দিতাম। কিন্তু আমার ছেলে যতক্ষণ নিঃশ্বাস নেবে, ততক্ষণ আমি চিকিৎসা চালিয়ে যাব। বাবার আশা, একদিন অলৌকিক কোনো ঘটনা ঘটবে এবং তার ছেলে কোমা থেকে ফিরে আসবে।,

অবশ্য টানা ১৫ বছর কোমায় থাকার পর ২০২০ সালের অক্টোবরে ওয়ালিদ তার আঙুল নাড়াতে পেরেছিলেন। এরপর থেকে তার অবস্থার আর কোনো উন্নতি হয়নি। রিয়াদের একটি হাসপাতালে ১১ বছরের চিকিৎসার পর ২০১৬ সালে ওয়ালিদকে বাড়ি নিয়ে যাওয়া হয়। এখন তিনি নিজের বাড়িতেই লাইফ সাপোর্টে রয়েছেন।,

ওয়ালিদকে দেখভাল করার জন্য ১০ জনের মতো কর্মচারী রাখা হয়েছে। এজন্য কোটি কোটি টাকা গুনতে হয় রাজপরিবারকে। সোশ্যালে একবার গুজব রটেছিল ওয়ালিদ আর জীবিত নেই। বেশ কয়েক বছর আগেই নাকি তার মৃত্যু হয়েছে। কিন্তু তার পরিবারের পক্ষ থেকে এই দাবি গুজব বলে অস্বীকার করা হয়।,

আপনার মন্তব্য লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষণ করুন

প্রকাশক ও সম্পাদক সম্পর্কে-

আমি মো. শফিকুল আলম শাহীন। আমি একজন ওয়েব ডেভেলপার ও সাংবাদিক । আমি পূর্বকণ্ঠ অনলাইন প্রকাশনার সম্পাদক ও প্রকাশক। আমি জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে ইতিবাচক। আমি করতে, দেখতে এবং অভিজ্ঞতা করতে পছন্দ করি এমন অনেক কিছু আছে। আমি আইটি সেক্টর নিয়ে বিভিন্ন এক্সপেরিমেন্ট করতে পছন্দ করি। যেমন ওয়েব পেজ তৈরি করা, বিভিন্ন অ্যাপ তৈরি করা, অনলাইন রেডিও স্টেশন তৈরি করা, অনলাইন সংবাদপত্র তৈরি করা ইত্যাদি। আমাদের প্রকাশনা “পূর্বকন্ঠ” স্বাধীনতার চেতনায় একটি নিরপেক্ষ জাতীয় অনলাইন । পাঠক আমাদের সবচেয়ে বড় অনুপ্রেরনা। পূর্বকণ্ঠ কথা বলে বাঙালির আত্মপ্রত্যয়ী আহ্বান ও ত্যাগে অর্জিত স্বাধীনতার। কথা বলে স্বাধীনতার চেতনায় উদ্বুদ্ধ হতে। ছড়িয়ে দিতে এ চেতনা দেশের প্রত্যেক কোণে কোণে। আমরা রাষ্ট্রের আইন কানুন, রীতিনীতির প্রতি শ্রদ্ধাশীল। দেশপ্রেম ও রাষ্ট্রীয় আইন বিরোধী এবং বাঙ্গালীর আবহমান কালের সামাজিক সহনশীলতার বিপক্ষে পূর্বকন্ঠ কখনো সংবাদ প্রকাশ করে না। আমরা সকল ধর্মমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল, কোন ধর্মমত বা তাদের অনুসারীদের অনুভূতিতে আঘাত দিয়ে আমরা কিছু প্রকাশ করি না। আমাদের সকল প্রচেষ্টা পাঠকের সংবাদ চাহিদাকে কেন্দ্র করে। তাই পাঠকের যে কোনো মতামত আমরা সাদরে গ্রহন করব।
জনপ্রিয়

পূর্বধলায় বণিক সমিতির সাথে উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থীর মতবিনিময়

১৮ বছর ধরে ঘুমাচ্ছেন সৌদি রাজপুত্র

আপডেট : ০১:২১:১৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩০ জুলাই ২০২৩

পূর্বকন্ঠ ডেস্ক: প্রায় ১৮ বছর ধরে ঘুমিয়ে রয়েছেন সৌদি রাজপুত্র আল ওয়ালিদ বিন খালিদ বিন তালাল আল সৌদ। বিশ্বের কাছে তার পরিচিতি ‘ঘুমন্ত রাজপুত্র’ হিসেবেই।

ওয়ালিদ যেন অপেক্ষায় রয়েছেন কবে কেউ এসে ‘সোনার কাঠি’ ছুঁইয়ে তাকে ঘুম থেকে ডেকে তুলবেন। অবশ্য তাকে ঘুম থেকে তোলার চেষ্টায় শত শত সোনার কাঠি ছোঁয়ানো হয়েছে। খরচ হয়েছে কোটি কোটি টাকা। কিন্তু কোনো লাভ হয়নি।

২০০৫ সালে মাত্র ১৮ বছর বয়সে সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদে একটি সড়ক দুর্ঘটনার মুখোমুখি হন ওয়ালিদ। গুরুতর আহতাবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাকে। চিকিৎসকরা বলেন, মস্তিষ্কে চোট লাগায় ওয়ালিদ কোমায় চলে গেছেন। এখনো কোমা থেকে ফেরেননি তিনি।,

ওয়ালিদ সৌদি রাজপরিবারের সদস্য খালিদ বিন তালাল আল সৌদের ছেলে। তার চাচা আল ওয়ালিদ বিন তালাল একজন ধনকুবের। তারা ওয়ালিদের জন্য কম চেষ্টা করেননি। তার পরও অবস্থার কোনো উন্নতি হয়নি। চিকিৎসকরা ওয়ালিদকে স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনার সব আশা ত্যাগ করেছেন। কিন্তু বাবা খালিদের আশা, ছেলে একদিন সুস্থ হয়ে উঠবে।,

খালিদ একবার বলেছিলেন, চিকিৎসকরা আমার ছেলের লাইফসাপোর্ট বন্ধ করে দিতে বলেছিল। আমি বলেছি, দুর্ঘটনায় মৃত্যু হলে ছেলেকে কবর দিতাম। কিন্তু আমার ছেলে যতক্ষণ নিঃশ্বাস নেবে, ততক্ষণ আমি চিকিৎসা চালিয়ে যাব। বাবার আশা, একদিন অলৌকিক কোনো ঘটনা ঘটবে এবং তার ছেলে কোমা থেকে ফিরে আসবে।,

অবশ্য টানা ১৫ বছর কোমায় থাকার পর ২০২০ সালের অক্টোবরে ওয়ালিদ তার আঙুল নাড়াতে পেরেছিলেন। এরপর থেকে তার অবস্থার আর কোনো উন্নতি হয়নি। রিয়াদের একটি হাসপাতালে ১১ বছরের চিকিৎসার পর ২০১৬ সালে ওয়ালিদকে বাড়ি নিয়ে যাওয়া হয়। এখন তিনি নিজের বাড়িতেই লাইফ সাপোর্টে রয়েছেন।,

ওয়ালিদকে দেখভাল করার জন্য ১০ জনের মতো কর্মচারী রাখা হয়েছে। এজন্য কোটি কোটি টাকা গুনতে হয় রাজপরিবারকে। সোশ্যালে একবার গুজব রটেছিল ওয়ালিদ আর জীবিত নেই। বেশ কয়েক বছর আগেই নাকি তার মৃত্যু হয়েছে। কিন্তু তার পরিবারের পক্ষ থেকে এই দাবি গুজব বলে অস্বীকার করা হয়।,